পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় সবুজ বাংলার নকল বীজ ধানে সর্বনাশ হয়েছে কৃষকের। সবুজ বাংলার বীজে প্রতারিত হয়েছেন শত শত কৃষক। এতে করে চলতি আমন মৌসুমে ফলন বিপর্যয়ের শংকা দেখা দিয়েছে পেকুয়ায়। প্রতারিত এ সব কৃষক এখন মাথায় হাত দিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। নকল বীজ ব্যবহৃত হওয়ায় উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নসহ বিপুল এলাকার ফসলী জমিতে সবুজের সমারোহ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। এতে করে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে হাজার হাজার কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সবুজ বাংলা নামের একটি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান চলতি আমন মৌসুমে বীজ প্যাকেটজাত করে। তারা এ সব বীজ নিজস্ব মোড়কে বাজারজাত করেছে। আকর্ষনীয় ও দৃষ্টিনন্দন প্যাকেট মোড়ক করে প্যাকেট ভর্তি বীজ পেকুয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ দেয়। কৃষকরা বীজ ধান ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে। এ সব বীজ থেকে উৎপাদিত চারা জমিতে রোপন করে। চলতি আমন মৌসুমে সবুজ বাংলা কৌম্পানী হাজার হাজার প্যাকেট বীজধান পেকুয়ায় বাজারজাত করে। কৃষক বীজের চাহিদা মেটাতে এ সব বীজ বিভিন্ন বীজভান্ডার ও দোকান থেকে ক্রয় করে। জানা গেছে, সবুজ বাংলার এ সব বীজ খুবই নিন্মমানের। অপরদিকে বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান বিশুদ্ধ বীজ প্যাকেট না করে তারা এসব প্যাকেটে নকল বীজ প্যাকেটজাত করে। সর্বোচ্চ মুল্যে বীজধান বিক্রি করে এ প্রতিষ্টানটি। তাদের প্রতিকেজি বীজধান বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকার বেশী। ৫ কেজি ওজনের একটি বীজ ধানের প্যাকেট বিক্রি হয়েছে খুচরা মুল্য ৫৭০ টাকা। প্যাকেটে কৌম্পানীর নিজস্ব লগো আছে। প্যাকেটের উপর বীূজ ব্যবহার ও করনীয় সম্পর্কিত নির্দেশিকাও প্রচলন করা হয়েছে। বলা হয়েছে এ সব বীজ বাজারজাত করতে কৃষি মন্ত্রনালয়ের পরীক্ষামুলক সনদ তাদের আছে। তাছাড়া এ সব বীজ কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রত্যায়িত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বিপুল কৃষক আমন ফসল ফলাতে সবুজ বাংলার বীজ সংগ্রহ করে। জানা গেছে, সবুজ বাংলার মুল বিক্রি এজেন্ট পেকুয়াতে নেই। তারা বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন চকরিয়া পৌর এলাকায়। তবে পেকুয়া বাজারের বীজধান ও কীটনাশক বিক্রেতার কয়েকটি প্রতিষ্টানকে তারা খুচরা ডিলার হিসেবে ধান বিক্রির অনুমতি পত্র দেয়। কৃষকরা জানান, পেকুয়া বাজারের মেসার্স শাহাদাত এন্টারপ্রাইজ চলতি আমন মৌসুমে সর্বাধিক বীজধান বিক্রি করে কৃষকদের। ওই প্রতিষ্টানের প্রতি কৃষকদের আস্থাভাব প্রকট। তারা বহুজাতিক কৌম্পানীর নির্ভেজাল বীজধান বিক্রি করে থাকে। ওই সুবাধে কৃষকদের আগ্রহের কমতি ছিলনা প্রতিষ্টানটির প্রতি। এ বছর শাহাদাত এন্টারপ্রাইজ থেকে কৃষক বীজধান ক্রয় করেছেন সবুজ বাংলা কোম্পানীর। তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থও কৃষক। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শত শত কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। ফসলী জমিতে সবুজের সমারোহ ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ ইউনিয়নের মিয়াজীপাড়া, মুহুরীপাড়া, সিকদারপাড়া, পশ্চিমকুল সহ আরও অধিক এলাকায় বিলে আমন ধানে প্রচুর ভেজাল বীজে সয়লাব হয়েছে। বর্তমানে ধানগাছে কাইছথোর অনেক কুঁশিতে ধানের থোর বের হয়েছে। তবে ভেজাল বীজ বীজতলা হওয়ায় ধানের তারতম্য এক একরকম হয়েছে। কিছু লম্বা আবার কিছু বেটে। অধিকাংশ কুশি অকার্যকর হয়েছে। বীজ বিশুদ্ধকরন না হওয়ায় অধিকাংশ ধান কাঁচা অবস্থায় পেকে গেছে। সেটিকে কৃষি বিজ্ঞান অপরিপক্ক হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। মুহুরীপাড়ার আবদুল খালেক, ফরিদুল আলম, আক্তার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, মগঘোনার নুর মোহাম্মদ, আলী হোসেন, আবু ছৈয়দ, মিয়ানি, মিয়াজিপাড়ার আবদুল হক, নুর মোহাম্মদ, কালন মেস্ত্রীসহ কৃষকরা জানায়, সবুজ বাংলায় আমাদের কপাল পুড়েছে। ধান গোলায় তোলা যাবে না। সর্বনাশ হয়েছে। বিআর ৩৩, ৩৯ বীজধানে সবচেয়ে ভেজাল হয়েছে। এ ব্যাপারে বীজ প্রস্ততকারী প্রতিষ্টানের চকরিয়া এলাকার জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। সবুজ বাংলা তাদের প্রতিষ্টান বলে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ভেজাল বীজ উৎপাদন করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় কৃষকরা বীজতলায় সময় ক্ষেপন করে থাকেন। এ সব বীজ জমিতে ফলনে সহায়ক হয় না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ,এইচ,এম মনিরুজ্জামান রব্বানী জানায়, এ ধরনের উপযুক্ত প্রমাণাদি কৃষকরা সংরক্ষন করে থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকাসহ যোগাযোগ করতে বলেন। অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে।
##########
পেকুয়ায় ইয়াবাসহ আটক-১
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। ১৭ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামলাপাড়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে। এসময় ৯৯ পিচ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির নাম বদিউল আলম (৪০)। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের বামলাপাড়া এলাকার মৃত গোলাম নবীর ছেলে। পেকুয়া থানার এস,আই কিশোর জানায়, আটককৃত ব্যক্তি ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কারা এর সাথে জড়িত আছে।
################
পেকুয়ায় গোপনে বিএনপির সভা পন্ড, গুলিবিদ্ধ-৩, থানায় এজাহার
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বিএনপির গোপন সভা পন্ড করা হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষ ওই বৈঠককে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যায়িত করে। তারা বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিকদলের রাতের এ বৈঠককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে সমাবেশস্থলে। এ সময় ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত ১৬ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের জালিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ প্রাপ্ত সুত্র নিশ্চিত করেছে,সৃষ্ট ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন একটি সিএনজি (অটোরিক্সা) ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। জালিয়াকাটা এলাকার ওমর কাজীর ছেলে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত দেলোয়ার হোসাইন বাদী হয়েছেন। ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ একই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনের নাম ইসমাইল বলে জানা গেছে। তিনি যুবদল পেকুয়া উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলে জানা গেছে।
#############
পেকুয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্ত্রী। স্বামী সৌদি প্রবাসী। বিয়ের আড়াই মাসের ব্যবধানে স্বামী জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি দেন। তবে স্ত্রী দাম্পত্য জীবন ত্যাগ করতে কৌশলে পালিয়ে যান শাশুড় বাড়ি থেকে। এ সময় ওই নারী প্রবাসী স্বামী, শ^াশুর শ^াশুরীসহ ওই পরিবারের বেশ কিছু সদস্যকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। মেয়েটির স্বামী প্রবাসী শ^াশুর শ^াশুরীর অবাধ্য ছিল। কৌশলে তাদের অজান্তে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় বাপের বাড়িতে। তবে নির্যাতন ও হয়রানীর অভিযোগ এনে এ মামলা রুজু করে। পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া এলাকায় মামলার খপ্পরে পড়েছে প্রবাসি ও তার পরিবার। গত দু’মাসের ব্যবধানে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে প্রবাসি ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মামলা ছড়াছড়ি চলছে একটি পরিবারের উপর। যুবকটি বিদেশে থাকেন। পৃথক দু’টি মামলায় তিনি আসামি। একটি মামলার বাদী তার নব পরিনিতা স্ত্রী সুমিরা জন্নাত। অপর আরেকটি মামলা হয়েছে। সেটির বাদী তার শাশুড়ী আয়েশা বেগম। গত ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এ নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন প্রবাসীর স্ত্রী সুমিরা জন্নাত। যার নং ৮৪৩/১৭। একইভাবে চলতি মাসের একই কোর্টে অপর আরেকটি নালিশী অভিযোগ দেন প্রবাসীর শাশুড়ী মগনামা ইউনিয়নের শুদ্ধখালী এলাকার রহিমুল্লাহার স্ত্রী আয়েশা বেগম। দুটি অভিযোগে সুমিরার স্বামী কোদাইল্লাদিয়া এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহেলকে প্রধান আসামী করে। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়্, চলতি বছরের ১০ মার্চ শুদ্ধাখালি পাড়ার রহিম উল্লাহর মেয়ে সুমিরা জন্নাত হেনা কোদাইল্লাদিয়া এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের ছেলে মুহাম্মদ সোহেলের বিবাহ হয়। কনে ও বরের পিতা বাল্যকালের বন্ধু। দুই বন্ধুর মেয়ে ছেলের মধ্যে বিবাহ হয়েছে। সোহেল বিবাহের আড়াই মাসের মধ্যে সৌদি আরবে চলে যান। স্ত্রী সুমিরার সাথে শশুর বাড়ির বনিবনা চলছিল। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ পালিয়ে যায় পিতার বাড়িতে। এ নিয়ে চরম কলহ ও বিরোধ দেখা দেয়। এর সুত্র ধরে মামলার ছড়াছড়ি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।
পাঠকের মতামত: